টাঙ্গাইল: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রতিষ্ঠিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা—তাতে প্রতিফলিত হয়নি।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে জুলাই শহিদদের স্মরণে জুলাই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জোনায়েদ সাকী বলেন, সংবিধানে সমস্ত ক্ষমতা একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এটাই যে, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হন, ক্ষমতা তারই হাতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ২০১১ সাল থেকে কর্তৃত্ববাদ ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আগেও বলেছি। শাসককে বিদায় করতে হবে। এই বিদায় আমরা আগেও করেছি। এবার আমাদের সংগ্রাম হলো শাসকের পাশাপাশি শাসন ব্যবস্থার বদল করা। ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা। দেশের সংবিধানে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে আমরা স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ থেকে মুক্তি পাব না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেছেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলছি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হলো শহিদদের মর্যাদা দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের জীবনের দায়িত্ব নেওয়া। এক বছর পার হলেও শহিদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ব্যাপারে সরকার কী করবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। আমরা সরকারকে বলব, এই দায়িত্ব পালনে আপনাদের অবহেলা ও দীর্ঘসূত্রিতা জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না।’
গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল সদরের আহ্বায়ক মোফাখ্খারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- টাঙ্গাইল জেলা সংগঠন ফাতেমা রহমান বিথী ও আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ মারুফের মা মোরশেদা বেগম প্রমুখ।