টানা চার দিন ধরে চলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন এবং দুই লাখেরও বেশি মানুষ তাদের নিজ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ায় দুই দেশের নেতারা শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন।
রোববার (২৭ জুলাই) ব্যাংকক ঘোষণা দিয়েছে, দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত আজ (সোমবার) শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবেন মালয়েশিয়ার নেতা ও আসিয়ান জোটের সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম।
আনোয়ার জানান, তিনি আশা করছেন অবিলম্বে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চালুর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।
এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় ও শর্ত নিয়ে আলোচনা করছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চালু করা।’
এই সংঘাতের মূলে আছে সীমান্ত এলাকার কিছু মন্দির নিয়ে বিবাদ।
এর আগে, শনিবার থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। সংঘর্ষ বন্ধে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, চার দিনের সংঘর্ষে আট সেনা ও ১৩ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, কম্বোডিয়া আটজন বেসামরিক মানুষ ও ৫ সেনা নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই সংঘাত থাইল্যান্ডের সীমান্ত এলাকা থেকে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর জেট বিমান, ট্যাংক ও পদাতিক সেনা হামলা-পালটা হামলা শুরু করে। রোববার সকালে কম্বোডিয়ার উত্তরাঞ্চল ও থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাঝামাঝি অঞ্চলের কিছু প্রাচীন মন্দিরের কাছে কামানের গোলা আছড়ে পড়ে।