গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য চলমান বিশেষ যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন ত্রাণপ্রার্থী।
রোববার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে, গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মানবিক সহায়তার কাজ আরও সহজ করতেই এই বিরতি দেওয়া হয় বলে জানায় তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি এলাকায় তারা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। এই এলাকায় মার্চ মাস থেকে নতুন করে স্থল অভিযান শুরু হয়নি।
তারা আরও জানায়, প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার ও ওষুধবাহী গাড়িবহরের জন্য নির্ধারিত নিরাপদ পথও চালু থাকবে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসরায়েলকেই।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। ইসরায়েলি হামলার বিরতি যেন সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগে পরিণত হয়।’
তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘আমাদের এখন এমন ব্যবস্থা দরকার যা খাদ্য সহায়তা বহুগুণে বাড়াতে সহায়ক হবে এবং যাতে আবারও খাদ্য বিতরণ, বেকারি কার্যক্রম ও গরম খাবার সরবরাহ শুরু করা যায়।’
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে খাদ্যপণ্য ফেলা শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান। শনিবার (২৬ জুলাই) থেকে আজ রোববার পর্যন্ত ২৫ টন খাদ্য সহায়তা গাজায় পৌঁছে দিয়েছে তারা।