ঢাকা: রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এখনো পর্যন্ত ৩৩ জন ভর্তি আছেন, তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে ৩৩ জন রোগী ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। এদের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে তিনজন। যাদেরকে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এদের চেয়ে একটু কম গুরুতর অর্থাৎ সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৯ জন। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।’
ধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আজ আরও তিনজনকে ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবং তাদের আরেকটি ড্রেসিং দরকার মনে করায় আজকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে আরও বেশ কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারত থেকে আসা চিকিৎসকরা পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ দেশে চলে গেছেন এবং বাকিরা চলে যাচ্ছেন।
এরআগে, শনিবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থী আয়ান খান (১২) ও রাফসিকে (১২)। রোববার বাসায় ফিরে কাজী আমজাদ সাঈদ (২০) ও সবুজা বেগম (৪০) নামে দুইজন।
আর রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় চিকিৎসাধীন মারা যায় মাইলস্টোনের ৭ম শ্রেণির ছাত্র দগ্ধ সাহিল ফারাবি আয়ান (১৪)।