পটুয়াখালী: অমাবস্যার জোয়ারে পটুয়াখালীর নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চারদিন ধরে দিনে দুবার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল।
নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর ও কাঁকড়াবুনিয়া, দশমিনার দক্ষিণ মুরাদিয়া, উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি ও চরগরদি গ্রাম। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবাগান এলাকা, জাতীয় উদ্যান, হোসেনপাড়া সড়ক ও ডিসি পার্ক সংলগ্ন সড়কে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হোসেনপাড়ায় সড়কের প্রায় ৩০ মিটার অংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে বসতবাড়িতে।
ভাঙনে উপকূলীয় এলাকায় মসজিদ, মন্দির, ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সসহ অনেক স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। সৈকতের ২২ কিলোমিটার জুড়ে মাটির স্তর বেরিয়ে এসেছে বালুক্ষয়ের কারণে। ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। ভাঙনে উপকূলীয় এলাকায় মসজিদ, মন্দির, ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সসহ অনেক স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। সৈকতের ২২ কিলোমিটার জুড়ে মাটির স্তর বেরিয়ে এসেছে বালুক্ষয়ের কারণে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো.রাকিব হেসেন বলেন, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে আগামীকাল
বেড়িবাঁধ রিপিয়ারের কাজ শুরু হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব দাশ পুরকায়স্থ বলেন, চরমোনতাজ ও চালতাবুনিয়া ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রটেকশনের কাজ চলছে।