ঢাকা: বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে রাজনৈতিক সরকারের হস্তক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তার মতে, এসব প্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাবের কারণে দেশের প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যদি দেশের জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে সেবা করার সুযোগ পাই, তাহলে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দলীয় সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে থাকব। এ অবস্থান একেবারে স্পষ্ট— এখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও লিখেছেন, ‘দেশের প্রশাসন ও বিচারিক কাঠামোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত না করতে পারলে সমাজের অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়। দেশ ও জাতির স্বার্থে এর কোনো বিকল্প নেই। নইলে আমাদের সমাজকে ঘুণে ধরা অবস্থা থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত, দক্ষ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতের এই বক্তব্য বর্তমান রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার দাবির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হলেও বাস্তবায়নের পথ অত্যন্ত জটিল এবং রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল।