নোয়াখালী: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণে ফের জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলা শহর ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও বসতবাড়ি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে, সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাইজদী আবহাওয়া অফিসে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এক টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টির পর থেমে থেমে আরও বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে শহরের প্রধান সড়কগুলো হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে যায়।
জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসে একাধিকবার টানা বৃষ্টির ফলে জেলার ৯টি উপজেলা ও পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে সোমবার বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। বিশেষ করে মাইজদীর স্টেডিয়াম এলাকা, ইসলামিয়া সড়ক, টাউন হল মোড়, পৌর বাজার সড়ক, জেলা আদালত চত্বর, রেকর্ড রুমসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং খাল-জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
কৃষ্ণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহসান উল্যা হেলাল বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে হাটু পরিমান পানি জমে যায়। এতে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সমস্যা হয়। অনেক সময় জামা কাপড় ভিজে যায়।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী তিন থেকে চার দিন থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি খাল দখলমুক্ত করেছি। খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।