Tuesday 29 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইডিবি ভবনের দোকান ফেরত চায় আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুলাই ২০২৫ ১৩:৩৯

জাতীয় প্রেসক্লাবে আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় ২০২৬ সালে আইডিবি ভবনের আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি দোকান বন্ধ করে ভবনটির সিইও নিয়াজ খান। শুধু তাই নয়, দোকান বন্ধ করে দিয়ে রাতের আধারে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়। মামলা করতে চাইলেও স্বৈরাচারের দোসর হওয়ায় নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে তখন মামলা করতে পারেননি আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: আখতারুজ্জামান খান। তবে গেল বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে সেই মামলাটি তদান্তধীন রয়েছে। এমন প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চান প্রায় তিন দশক ধরে কম্পিউটার ব্যবসায় জড়িত আখতারুজ্জামান। এবং আগের সেই দোকান দুটি ফেরত চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি আয়োজিত ‘২০২৬ সালের ৩১ আগস্ট স্বৈরশাসকের আমলে আইডিবি ভবনের সিইও নিয়াজ খাতের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে বিনা নোটিশে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ও দোকানের মালামাল লুটের প্রতিবাদে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আখতারুজ্জামান খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আমেরিকা প্রবাসী। রাজধানীর আইডিবি ভবনে দোকান ভাড়া নিয়ে ২৭ বছর যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ‘আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি লি.’ ও ‘কম্পিউটার মার্ট ইনক’ নামে কম্পিউটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল ছিল। কিন্তু আমি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় আইডিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বৈরাচারের দোসর নিয়াজ খান আমার দোকান দুটি রাতের আধারে বন্ধ করে দেয় ও ব্যবসায়িক ক্ষতি করে।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্রের মেয়াদ ২০১৬ সালের ৩০ জুন শেষ হলে চুক্তিপত্র নবায়ন করতে আমাকে সহযোগিতা করেনি। ওই বছরের ৩১ আগস্টের রাতে বিনা নোটিশে আমার দোকানে তালা মেরে আমাকে বিতাড়িত করা হয়। আমি আমেরিকায় থাকায় নিয়াজ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি যোগাযোগে অনীহা প্রকাশ করেন। ২০২৬ সালের ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় আমার কর্মচারীরা নিত্যদিনের মত তালা দিয়ে চলে গেলে পরের দিন সকালের মধ্যে দোকানের তালা ভেঙে ৪৬০টি এইচপি ল্যাপটপ, ১৮০টি জেল ল্যাপটপ, ৮০টি এসিআর ল্যাপটপ, লেনেভো ল্যাপটপ ৬০টি, ডেন্দ্রটিশ কম্পিউটার (বিভিন্ন ব্র্যান্ডের) ৪০টি, এইচপি প্রিন্টার ১৩০টি, মাদারবোর্ড, হার্ডড্রাইভ, র‌্যামসহ নানাবিধি কম্পিউটার এক্সেসরিজ লুট করে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। ১ সেপ্টেম্বর কর্মচারী সকালে দোকান খুলতে গেলে নতুন তালা দেখে জিজ্ঞেস করলে দোকান খুলতে বাধা দেয় এবং আমার কর্মচারীদের নানাবিধ হুমকি দেয়। আমি আমেরিকা থাকায় কর্মচারীরা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানাইলে আমি ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি তৎকালীন সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় এবং আমি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় মামলা করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর আমি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসী নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে আখতারুজ্জামান জানান, ২০২৬ সালে ওই দোকান দুটি অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি ক্ষতিপূরণসহ ওই দোকান দুটি ফেরত চান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ

আইডিবি ভবন আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর