ঢাকা: চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি’ (বিওএফ) সম্প্রসারণে জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ টেক্সটাইলস মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি)-এর আওতাধীন ‘জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড’-কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নীতিগত অনমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সমরাস্ত্র কারখানা সম্প্রসারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ‘জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড’-কে প্রতীকী মূ্ল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। মিলটিতে জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৯৯ একর।
এছাড়া বৈঠকে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জি-টু-জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরব এর ‘সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি’ থেকে ইউরিয়া সার আমদানির লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ (বিসিআইসি) এর সঙ্গে সৌদি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সইয়ের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৈঠক শেষে প্রতীকী মূল্যে মিলটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন থেকে সরকারি জমি কাউকে প্রতীকী মূল্যে দেওয়া হবে না। সরকারি জমি যারাই নিতে চাইবে অর্থ দিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, জলিল টেক্সটাইল মিলস সেনাবাহিনী নিতে চাচ্ছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রতীকী মূল্যে দেবো না। এখন থেকে প্রতীকী মূল্যটা অ্যাভয়েড (এড়িয়ে চলা) করবো। যারাই নিতে চায় অর্থ দিয়ে নেবে। কারণ প্রতীকী মূল্যে দিলে যারা নিয়ে যায়, তারা ঠিকমতো ইউটিলাইজ করে না। অনেক ক্ষেত্রে ১০ একর জমির প্রয়োজন থাকলেও প্রতীকী মূল্যের কারণে ১০০ একর জমি দরকার বলে জানানো হয়।
তাহলে কি জলিল টেক্সটাইল মিলসের জমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তাদেরকেই দেওয়া হবে, তবে মূল্যটা নির্ধারণ করে প্রস্তাব আসতে হবে।
জানা যায়, প্রতীকী মূল্য হিসেবে ১৭ কোটি টাকা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবে।