ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে ৭০ জন বিনিয়োগকারীর। আর ১০০ কোটি বা তার বেশি বিনিয়োগ আছে, এমন বড় বিনিয়োগকারী আছেন ৩৪৭ জন, ৫০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৩৩ জনের। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ১০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগকারী আছেন দুই হাজার ৮৯১ জন এবং এক কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩১৬ জন। চলতি ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কোটিপতি বিনিয়োগকারীদের এই সংখ্যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় বেশি। ২০২৪ সালের ৩০ শে জুন এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৯৭৬ জন। ফলে এক বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৮১ জন। এর মধ্যে ২০২৪ সালের জুনে ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ ছিল ৬৮ জনের, ১০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ছিল ৩২৫ জনের, ৫০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি ছিল ৬৯৬ জনের, ১০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী ছিল ২ হাজার ৮৯১ জনের এবং ১ কোটি টাকা বেশি রয়েছেন ১২ হাজার ৯৯৩ জন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএিইসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পুঁজিবাজারে শুধু কোটিপতি বিনিয়োগকারী বেড়েছে তা নয়, সর্বশেষ এক বছরে পুঁজিবাজারে লাখপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখ্যযোগ্য হারে। ২০২৪ সালের জুন শেষে ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগকারী ছিল ২২ হাজার ৯০৭ জন, চলতি বছরের ৩০ জুন এসে তা বেড়ে ২৪ হাজার ২২৫ জনে উন্নীত হয়েছে। আর ১০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে এমন বিনিয়োগকারী ছিলে গত বছরের জুনে ছিলো ৯৮ হাজার ৩৭১ জন। চলতি বছরের জুনের শেষে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন।
এ ছাড়াও ১ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগ বর্তমানে আছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৮৫ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৪ জন। ফলে গত এক বছরে পুঁজিবাজারে লাখ থেকে কোটিপতি সব ধরনের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে গত এক বছরে এক লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করেছে এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের জুনের এই সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৪৪ হাজার পাঁচজন। আর চলতি বছরের জুনে তা ৭৫ হাজার ৪৫৭ জন কমে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৮ জনে নেমে এসেছে।
এদিকে গত ১৯ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটি চক্র কমিশনকে বিবৃত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে নানান ধরনের অপ্রচার চালিয়ে আসছিল। যাদের অভিযোগ ছিল রাশেদ মাকসুদ কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারের বড় বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেনি বরং বেড়েছে।
