টাঙ্গাইল: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মাওলানা ভাসানীর মতো মহান রাজনৈতিক নেতারা বাংলাদেশের স্থপতি। তাদেরকে বাদ দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে পূজা করা হয়েছে। ভাসানী না থাকলে কিন্তু একজন শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতে পারতো না।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শেষে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে জুলাই সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেপথ্য কারিগর ছিলেন মওলানা ভাসানী। স্বাধীনতা উত্তর ভাসানী বলেছিলেন, আমরা পিন্ডির জিঞ্জির ভেঙেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়।’’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় সমাবেশে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশের পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা হবে বাংলাদেশের, কোনো গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘এখনো দেশে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদাবাজদের একটাই পরিচয় তারা চাঁদাবাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৪ পরবর্তী আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে কোনো গোষ্ঠী, ব্যক্তি বা দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। মিডিয়া যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজে না লাগে।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এমসিপি’র উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী, এনসিপি টাঙ্গাইলের প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল প্রমুখ। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা ও ডা. তাজনুভা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের প্রিন্স হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় জেলা এনসিপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল হাউজের সামনে থেকে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিরালা মোড়ে সমাবেশ স্থলে গিয়ে শেষ হয়।
সোমবার রাতে এমসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তারা মাওলানা ভাসানীকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ও বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক বিকাশের অন্যতম স্থপতি বলে মন্তব্য করেন।