পুলিশের বাধায় ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের’ সমাবেশ পণ্ড
৩ জুলাই ২০১৮ ২২:১৫
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের’ ডাকা সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে এঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত জুনাইদ সাকির সঙ্গে অবস্থান নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহকে আটক করলেও পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকী বিল্লাহকে প্রিজনভ্যানে একা যেতে দেবে না বলে তার সঙ্গে প্রিজনভ্যানে থানায় যান শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলে, বাকী বিল্লাহর সঙ্গে তিনিও প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।
গত তিনদিন ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এসব কর্মকাণ্ড ও এ বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের ডাক দেন উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকরা।
বিকেলে তারা সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সমাবেশকারীদের দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। তাদের নিয়ে আসা ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়।
এ সময় বাধা দিলে সমাবেশকারীদের মধ্য থেকে বাকী বিল্লাহকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। তাকে ছাড়িয়ে নিতে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। এ সময় তাকেও লাঞ্ছিত করে পুলিশ। তার সঙ্গেও পুলিশের বাকতিণ্ডাও হয়।
এরপরও সমাবেশকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে সমাবেশের চেষ্টা করে। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সমাবেশ করতে না পারলেও কিছু সময় প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
পরে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সমাবেশে এসেছি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে পেটুয়া বাহিনী, কখনো ছাত্রবেশে কখনো পুলিশ বেশে। সেটার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে কারণ তারা একটি লক্ষ্য, তাদের একটি ন্যায্য দাবী, ন্যায্য অধিকার কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে। এখন এই পর্যায়ে এসে অর্থাৎ সংসদে ঘোষণা দেয়ার পরও মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে কোটা সংস্কার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট অগ্রগতি আমরা দেখিনি। ফলে শিক্ষার্থীরা যে বার বার মাঠে নেমে ফলাফল চাচ্ছে সেটা তাদের ন্যায্য অধিকার। এ অবস্থায় আমরা শিক্ষক হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে বসে থাকতে পারি না।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসও/এমআই