ঢাকা: তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম যন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের অনুমতি না দেওয়া সরকারের আরও একটি ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে দেশে ই-সিগারেট/ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম যন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের কোন কারখানা স্থাপনের অনুমতি না দিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ অন্যান্য সমমনা তামাক-বিরোধী সংগঠনগুলোও দীর্ঘদিন ধরে ই-সিগারেটের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলো। সরকারের এ নির্দেশনার মাধ্যমে ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধের পাশাপাশি এবার দেশে এর যন্ত্রাংশের কারখানা স্থাপনও নিষিদ্ধ করা হলো। সরকারের এ নির্দেশনা দেশের তরুণ সমাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং সার্বিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইলেকট্রনিক সিগারেটকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যেই ই-সিগারেটের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, হংকংসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ ই-সিগারেটকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে এবং আরো ৫৬টি দেশ ই-সিগারেট ক্রয় বিক্রয়ের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের এ নির্দেশনার জন্য সংশ্লিস্টদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি নির্দেশনাটি দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে তামাক বিরোধী জোট।