লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাঁচটি উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢলে তিস্তার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল ৬টার পর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত রাতের প্রবল স্রোতে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকায় একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে পড়েছে, ফলে ওই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্লাবনে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি এবং পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘গতকাল রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ সকাল থেকে পানি কিছুটা কমলেও এখনো ভাটির দিকে চাপ রয়েছে। ধুবনী এলাকায় বাঁধের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি মেরামতের কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা পানির স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে। এরপর তা ধীরে ধীরে নামতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এরইমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্গত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার ও জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে।