Thursday 31 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলডিসি-উত্তর চার খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি
আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৮

ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে ইতোপূর্বে প্রদত্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনায় ১৫ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। গঠিত এ কমিটির প্রধান হলেন- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ বিভাগের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিএসটিআই মহাপরিচালক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিসিক চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের মনিটরিং সেল থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর রফতানি নির্ভর সাবসিডি বা নগদ সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে না। এ প্রেক্ষাপটে উদীয়মান বা প্রতিশ্রুতিশীল খাতগুলো থেকে চার খাত যথা- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রফতানি সক্ষমতা বাড়াতে কী কী করা যেতে পারে- তা পর্যালোচনা প্রয়োজন।

এ লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোপূর্বে অর্থ বিভাগ থেকে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কিছু সুপারিশ দিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এসব সুপারিশ পর্যালোচনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হলো।

গঠিত উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটির কার্য পরিধির মধ্যে রয়েছে- প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলো থেকে সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় কোন কোন সুবিধা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ করা;
এ সুবিধাগুলো দেওয়ার জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন;
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থাগুলোর গ্রহণ করা কার্যক্রম নিয়মিত পর্যালোচনা, মূল্যায়ন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি।

এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশ ছাড়াও বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় অন্য যে কোনো উপযুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন এলডিসি-উত্তর চার খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি সুপারিশ পর্যালোচনা