কক্সবাজার: কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় বাসার ছাদ থেকে পড়ে মিছবাহ উদ্দিন (৪৬) নামের এক ব্যবসায়ীর ‘রহস্যজনক মৃত্যু’ হয়েছে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিছবাহ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ব্যবসায়িক কাজে পরিবারসহ কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজারে মেজবাহ উদ্দিনের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসাও করতেন। তিনি কক্সবাজারস্থ বাঁশখালী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানান, সকালে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় বাসার ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
ঘটনাটি ভবনের ছাদ থেকে নিছক মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা বা পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিতে তদন্তে করছে পুলিশ। ওসি বলেন, “ ভবনের ছাদ থেকে এক ব্যক্তির পড়ে যাওয়ার কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজগুলো পর্যালোচনাসহ ঘটনার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। “
পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন, ভোরে বাসায় নামাজ আদায়ের পর মেজবাহ উদ্দিন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাসার ছাদে ওঠেন। এক পর্যায়ে বাসার ভবনের পাশে চলাচলের রাস্তায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ”
নিহতের স্বজনদের বরাতে বাঁশখালী সমিতি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ বলেন, “ সকালে খবরটি শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে যান। মেজবাহ উদ্দিনের মৃত্যুটি রহস্যজনক মন্তব্য করে বাঁশখালী সমিতির এ সংগঠক বলেন, “ সচরাচর কোন স্বাভাবিক ও সুস্থ ব্যক্তি কোন ভবনের ছাদ বা স্থান থেকে নিচে পড়ে গেলে শোর চিৎকার আর নড়াচড়া করার কথা। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাতে এ ধরনের কোন দৃশ্যের দেখা মিলেনি। তবে একটি সিসিটিভি ফুটেজে জনৈক ব্যক্তিকে ভবনের উপর থেকে নিচে উঁকি মেরে দেখার ঘটনাটি ‘রহস্যজনক’ বলে মনে হচ্ছে। “
সুলতান আহমদ জানান, মেজবাহ উদ্দিনের কক্সবাজারে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ছিল। একটি জমি নিয়ে তার সঙ্গে কতিপয় লোকজনের মধ্যে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল। তাই ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি ইলিয়াছ খান।