ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক বাদানুবাদ স্বাভাবিক। গণতন্ত্রে এটা হবেই। কিন্তু, এমন কোনো কিছু করবেন না, যাতে আবার গণতন্ত্র ব্যাহত হয়— রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সেটাই আহ্বান থাকবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানাসংলগ্ন লাশ পোড়ানো স্থানে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান-২০২৪: নারকীয় আশুলিয়া’ শীর্ষক এ প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করব সব রাজনৈতিক দলের কাছে; আসুন, আমরা অতি দ্রুত আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোকে মিটিয়ে ফেলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাই। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা জাতি, আমরা আমাদের নিজেদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারি। রাষ্ট্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা সন্তানদের হত্যা করে, এমনকি পুড়িয়ে হত্যা করে। আমার নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে। যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন বেঁচে ছিলেন। অর্থাৎ একজন জীবিত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একজন শহিদদের পরিবার অভিযোগ করেছে, তার স্বামীকে পুড়িয়ে মারার পর কেউ তার খোঁজ নেয়নি, কেউ সহযোগিতা করেনি। আমি ঢাকার ডিসিকে এখানে বসেই ফোন করেছিলাম। সরকার অঙ্গীকার করেছিলেন আহত এবং শহিদদের পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেবে। যারা আহত হয়েছিলেন তাদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করবে। আমি এখানে মাত্র দু’জনকে পেয়েছি যারা সেই টাকা পেয়েছেন।’
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।
শহিদ পরিবারের মধ্যে বাবুল হোসেনের স্ত্রী লাকি আখতার, আরাফাত মুন্সির বাবা স্বপন মুন্সি, বায়েজিদ মুস্তাফিজের স্ত্রী রিনা আখতার, শ্রাবণ গাজীর বাবা আবদুল মান্নান গাজী, মামুন খন্দকার বিপ্লবের স্ত্রী খন্দকার সাথী, সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম, আরাফুর রহমান রাসেলের ভাই সায়েদুর রহমান বাবু প্রমুখ।