ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩০০ আসনের মাঝে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন এনে সংসদীয় আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে এ তালিকা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯-এর দফা (১)-এর উপদফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর ধারা ৮-এর উপধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনি এলাকাগুলোর সীমানা উপরোক্ত আইনের ধারা ৬-এর উপধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ধারা ৬-এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এতদসঙ্গে একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করা হলো।
যে ৩৯ টি আসনে পরিবর্তন এসেছে— পঞ্চগড় ১, ২, রংপুর ৩, সিরাজগঞ্জ ১, ২, সাতক্ষীরা ৩, ৪, শরিয়তপুর ২, ৩, ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪, ১৯, গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫, ৬, নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪, ৫, সিলেট ১, ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২, ৩, কুমিল্লা ১, ২, ১০, ১১, নোয়াখালী ১, ২, ৪, ৫, চট্টগ্রাম ৭, ৮ ও বাগেরহাট ২, ৩।
সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসির নির্ধারিত পদ্ধতি
পার্বত্য এলাকার তিন জেলার তিনটি আসন অপরিবর্তনীয় রাখা; দুই আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তীত রাখা। কারণ ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে আসন বৃদ্ধি করলে অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস (জেলাভিত্তিক ভোটারের জাতীয় গড়ের তুলনায়) পায়। আবার দুটি আসনকে একটি আসনে হ্রাস করলে ভোটার সংখ্যা গড়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়; তিন আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা। আসন হ্রাস/বৃদ্ধিতে ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে।
যেসকল আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য কোনো আবেদন দাখিল হয়নি, সে আসনগুলো অপরিবর্তীত রাখা; প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার গণ্যে উপজেলা/থানা ইউনিটকে যতদূর সম্ভব অখণ্ড রাখা; জেলার মধ্যকার আসনের ভোটার সংখ্যা সবোর্চ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা; যতদূর সম্ভব, প্রশাসনিক ও নির্বাচনি সুব্যবস্থার বিষয় বিবেচনায় রেখে উপজেলা, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা বজায় রাখা; ইউনিয়ন, সিটি কপোরেশনের ওয়ার্ড ও পৌরসভার একাধিক সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভাজন না করা; সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক পরিধি বিবেচনায় নির্বাচনি এলাকা পুনর্বিন্যাস করা; যতদূর সম্ভব, সীমানা পুনর্নির্ধারণকালে সংশ্লিষ্ট জনগণের সেবা বিষয়ক সুবিধা/অসুবিধার বিষয় বিবেচনা করা; যতদূর সম্ভব, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য (যথা-নদী) ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (যথা-রাস্তাঘাট) তথা জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করা;
এবং যেসকল প্রশাসনিক এলাকা নতুন সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত/কর্তন করা এবং পরিবর্তিত নাম সংশোধন করা।
সেসঙ্গে কোনো সংক্ষুদ্ধ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে কোনো আসনের পুনর্নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর তার লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত পেশ করতে পারবেন। তবে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত পাঁচ প্রন্থ দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।