সিলেট: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় প্রবাসী সাইফুলসহ ৮আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।
তিনি জানান, মামলায় ৩৪ জন আসামির মধ্যে আদালত ৮জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকিদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরমধ্যে এজাহার নামীয় আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন।
প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে জেল হাজতে ছিল। গত ১৩ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়
জানা যায়, ২০২১ সালের ১লা মে সাইফুল ও তার বাহিনী চাউলধনী হাওরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিলদের নিজস্ব রেকর্ডীয় ভূমিতে জোরপূর্বক এক্সভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এতে জমির মালিক বাঁধা দিতে চাইলে সশস্ত্র আসামিরা বন্দুক, পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানা পুলিশ ও গ্রামে একাধিক বৈঠক করে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বন্দুকের গুলিতে শাহজালাল হাইস্কুলের ১০শ্রেণীর ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর গুলিবিদ্ধ হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুমেলের বাবা-চাচাসহ ৩ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিলেটের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন ও সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এ হত্যার মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হত্যাকাণ্ডে সহযোগী ও আলামত নষ্ট করার দায়ে ওসি শামিম মুসা ও এসআই নুর ও ফজলুল হককে ক্লোজ করা হয়। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২জনের বিরুদ্ধে এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩জন সাক্ষী দেন। মামলার বাদী সিজিল মিয়া আদালতের এ রায়ের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।