ঢাকা: জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করার আহ্বানও জানিয়েছে দেশের অন্যতম নারী অধিকার সংগঠনটি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এই দাবি জানান। তারা জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান আলোচনা প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্ব এবং নারী সংগঠনগুলোর অনুপস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলে তা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সংগঠনটি অভিযোগ করে জানায়, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রাপ্তদের অনেকেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দুর্বল থেকেছেন এবং দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সরাসরি ভোটে নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন চলে আসছে এবং তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সংসদেও একই ব্যবস্থা চালু করা গেলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন একটি বাস্তব রূপ পাবে।
সংগঠনটির উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
- জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিশ্চিত করা।
- সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করা।
- মনোনয়ন প্রথা বাতিল করা।
- নির্দিষ্ট নির্বাচনি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচন আয়োজন করা।
- এই ব্যবস্থাটি অন্তত ২–৩ মেয়াদের জন্য কার্যকর রাখা।
সংগঠনটি আশা করে, আসন্ন জাতীয় ঐকমত্য ও রাজনৈতিক সংস্কারের আলোচনায় এই দাবিগুলো গুরুত্ব পাবে এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।