ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দুটি ভিন্ন নথি হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এক করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এনসিপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের প্রচারণা চলছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের ২২তম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আখতার এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টের বিজয়ের একটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি। এর একটি আইনগত ভিত্তি থাকা দরকার। অন্যদিকে, জুলাই সনদ রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কমিশনে আলোচিত একটি বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা চাই না এমন একটি অপূর্ণ, অকার্যকর এবং সংস্কারবিহীন সনদ তৈরি হোক, যা অতীতে তিন দলের দেওয়া রূপরেখার মতো শুধু ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। জুলাই সনদ হতে হবে কার্যকর, আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় দুই বছরের বাস্তবায়নকাল উল্লেখ রয়েছে, যা এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই বিলম্বিত বাস্তবায়ন জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিন্দু ছাড় দেব না। সরকার যদি ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি না করে, তবে এনসিপি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে নিয়ে নিজেরাই তা জারি করবে।’
আখতার আরও বলেন, ‘‘সরকার একটি খসড়া দিলেও এনসিপির পক্ষ থেকে একটি ‘পরিণত খসড়া’ জমা দেওয়া হয়েছে।’’ আলোচনার অগ্রগতি এখনো সন্তোষজনক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আখতার বলেন, ‘যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ যেন একটি বাস্তব ভিত্তির ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়— আমরা সেটিই চাই।’