ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কানাডা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
তবে কারনি বলেন, এই স্বীকৃতি নির্ভর করবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির ওপর, যেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কারনি বলেন, ‘কানাডা বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছে, তবে এখনকার পরিস্থিতিতে সেই পথ আর টেকসই নয়। আমাদের চোখের সামনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’
ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের ঘোষণার কয়েকদিন পর কানাডার এই সিদ্ধান্ত এসেছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য শর্তে রাজি না হয়, তবে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
কানাডার ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এটি হামাসের জন্য একপ্রকার পুরস্কার। এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও জিম্মি মুক্তির প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।’
কারনি আরও জানান, স্বীকৃতির শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার ও অঞ্চলটি নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তিনি এদিন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন বলে নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রই হবে নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র স্থায়ী সদস্য যারা এখনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।