ফরিদপুরের ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুর: ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক শওকত মোল্লা হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত অপর এক আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিডিটর অ্যাডভোকেট চৌধুরী জাহিদ হাসান খোকন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত ইজিবাইক চালক শওকত মোল্লা (২০) জেলার সালথা উপজেলার দেওয়ালীকান্দা গ্রামের আয়নাল মোল্লার ছেলে। শহরের পশ্চিম খাবাসপুর শামসুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মোহাম্মদ শাহিন হাওলাদার এর ছেলে মেহেদী আবু কাওসার (২৬), সিদ্দিক মোল্লার ছেলে জনি মোল্লা (৩১), মৃত নাজিম শেখের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল শেখ (২৬) (পলাতক), শহরের গোয়ালচামট ওয়ারলেস পাড়ার অনিল দাস এর ছেলে রাজেশ রবি দাস (৩০), মৃত সালাম মোল্লার ছেলে রবিন মোল্লা ওরফে ভিকি (২৬)। এছাড়া রাজবাড়ী জেলার মজলিশপুর থানা এলাকার মুরাদ শেখের ছেলে বাদশা শেখ (২৬)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বরচালক শওকত মোল্লা বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরের দিন সকালে শহরের গোয়ালচামোট মোল্লা বাড়ি সড়কের শেষ মাথায় বাইপাস সড়কের কাছে ধানক্ষেতের মধ্যে একটি লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে শওকতের লাশ শনাক্ত করে। তার গলায় কাপড়ের বেল্ট প্যাচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ইজিবাইক ও মোবাইল নিয়ে যায় খুনিরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়নাল মোল্লা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

কোতয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক খায়রুল বাসার ও শামীম আক্তার মামলাটি তদন্ত করে চালককে হত্যা ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেন। পরে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিডিটর অ্যাডভোকেট চৌধুরী জাহিদ হাসান খোকন জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দিয়েছেন।