ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়ার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এদিন খায়রুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন।
এবিএম খায়রুল হককে হয়রানির করতে গেল ২৪ জুলাই এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে শুনানিতে জানান আইনজীবী শাহীন। তিনি বলেন, ‘মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর গত ৬ জুলাই মামলাটি করা হয়। এতদিন পর মামলাটি করার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।’
এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি থেকে ২০১১ সালের ১৭ জুন অবসরে যান খায়রুল হক। একইসঙ্গে গত বছরের ৫ আগস্টের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন। এরপর নিজের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ পাহারাধীন ছিলেন তিনি। এ তথ্য পুলিশের সদর দফতরে সংরক্ষিত রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের দিনও নিজ বাড়িতে পুলিশি পাহারায় ছিলেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
শাহীন বলেন, ‘ঘটনার দিন নিজের কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে দাফতরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাস ভবনে ফিরে আসেন খায়রুল হক। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি যাননি। তার বয়স ৮১ বছর। এই বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন পেলে তিনি ট্রায়াল ফেস করতেন। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। তবে শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।’
উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে একটি মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন তিনি।