Monday 04 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমার আভাস
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে পোশাক মালিকদের প্রস্তুতি

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২৫ ২১:০২ | আপডেট: ২ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৬

পোশাক কারখানা। ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রায় সব শর্ত মেনে নিতে সম্মত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক ইস্যুতে এখনো সুখবর দিতে পারেনি সরকার। ট্যারিফ ইস্যুতে তৃতীয় দফা বৈঠকেও একমতে পৌঁছুতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ। তবে শুল্ক যে ৩৫ শতাংশ থাকছে না, সে বিষয়ে কিছুটা আভাস মিলেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় শুল্ক মোকাবিলায় এখনো কোনো প্রস্তুতি নেই দেশের পোশাক রফতানিকারকদের।

যদিও শুল্ক বাড়লে করণীয় বিষয়ে ‘হোম ওয়ার্ক’ করছেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলে সরকারের সঙ্গে বসার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ বিশেষ ভর্তুকির দাবিও তুলতে পারেন তারা। একইসঙ্গে শুল্কের ভার সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রেতাদের ঘাড়ে তুলে দিতে দরকষাকষির পন্থা অবলম্বন করতে হবে উদ্যোক্তাদের। এর বাইরে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিকল্প বাজারেও নজর দিতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান দুই বাজার। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই দেশের পোশাক রফতানির সবচেয় বড় গন্তব্য। দেশটিতে দেশের পোশাকের ২০ শতাংশ রফতানি হয়ে থাকে। গেল এপ্রিলে ট্রাম্পের পালটা শুল্ক আরোপের প্রভাবে দেশটির অনেক ক্রেতা ক্রয়াদেশ স্থগিত করে দেয়। পরে পালটা শুল্কারোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলে ক্রয়াদেশের স্থগিতাদেশ উঠে যায়। ট্রাম্প শুল্কের বিষয়টি জুলাইয়ে আবার সামনে নিয়ে এলে নতুন করে ক্রয়াদেশ স্থগিত হতে থাকে। বেশকিছু পোশাক কারখানার মালিক ক্রয়াদেশ স্থগিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, এরই মধ্যে ওয়ালমার্ট, স্মার্টেক্সসহ কয়েকটি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান তাদের ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে।

আর এই শুল্ক মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাংলাদেশের তিন দফা বৈঠক হয়ে গেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব শর্ত মেনে নিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং ক্রয়, বেশি দামে গম কেনা ও গোপনচুক্তিসহ নানা শর্ত মেনে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ থেকে ২৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শুল্ক যদি ২০ শতাংশের মধ্যে থাকে তা মোকবিলা করা দেশের পোশাক উদ্যোক্তার জন্যে খুব বেশি কঠিন হবে না। তবে শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে তাৎক্ষণিভাবেই পোশাক রফতানি ২০ শতাংশ রফতানি কমে যাবে এবং এক বছরের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ রফতানি কমার আশঙ্কা রয়েছে। আর শুল্ক না কমলে দেশের পোশাক খাতে বড়ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ পোশাক কারখানা। এ ছাড়া, প্রভাব পড়তে পারে দেশের ছোট-বড় প্রায় দুই হাজারের বেশি পোশাক কারখানায়। পোশাক উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা এমনটিই।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতনিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্যারিফ কমবে না এমন চিন্তা থেকে এখনো আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। কারণ, ট্যারিফ নিয়ে আমরা এখনও আশাবাদী। আমরা আশাবাদী ট্যারিফ ভালো (কমবে) হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির মধ্যে আমাদের হোমওয়ার্ক করা আছে। তখন হয়তো সরকারের সঙ্গে আমরা বসব, কীভাবে এটি ম্যানেজ করা যায়। বায়ারদের সঙ্গে বসব, কীভাবে ম্যানেজ করা যায়। ম্যানেজ করার মতো হলে, হবে। না হলে ফ্যাক্টরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হোমওয়ার্ক করা আছে, তবে আমরা আশাবাদী ট্যারিফ হয়তো ৩৫ শতাংশ থাকবে না।’

আরও পড়ুন: স্থগিত হচ্ছে ক্রয়াদেশ, বন্ধ হতে পারে ২ শতাধিক পোশাক কারখানা

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ স্থগিত বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘অনেক কাখানার অর্ডার স্থগিত হয়েছে। তবে সবাই বিজিএমইএতে তথ্য দেয়নি। শুধুমাত্র একটি কোম্পানি অর্ডার স্থগিত হওয়ার তথ্য দিয়েছে। আর বায়াররাও অপেক্ষা করছে, ট্যারিফ কোনটি নির্ধারিত হবে। ক্রয়াদেশ স্থগিতের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাবে না। কারণ অর্ডার স্থগিত হয়েছ, বাতিল হয়নি। যদিও ক্রয়াদেশ স্থগিত হওয়া মানে কারখানার বিরাট ক্ষতি।’

জানতে চাইলে নিটওয়্যার পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৩৫ শতাংশ থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা আশা করছি, আমাদের জন্য শুল্ক ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত। তারপরেও সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে রাখতে পারে, তাহলে আপতত কিছুটা ক্রয়ক্ষমতা কমবে। তিনি থেকে চার মাস আমাদের বিক্রি কমে যাবে। তারপরে আশা করি, আমাদের এই বিপদটি কেটে যাবে। কিন্তু ওই পর্যন্ত টিকে থাকা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হবে।’

তিনি অারও বলেন, ‘ভারতের যদি ২৫ থাকে, আর আমাদের যদি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ থাকে; তাহলে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ দেখি না। সাময়িক কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে আমরা টিকে যেতে পারব।’ কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে আমাদের ব্যবসার পরিবেশ ঠিক করা। কিন্তু সেটি তো সরকারকেই করতে হবে। সেখানেও সরকার সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। আর আমরা আমাদের প্রাইস কতটুকু কমাব? আমাদের মুনাফাই থাকে ২ থেকে ৩ শতাংশ। এখানে আমাদের খুব বেশি কিছু করণীয় নেই। কিন্তু সরকারের কাছে দাবি জানাতে পারি, এই এই কাজগুলো করবে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।’

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিকারক স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক না কমলে কী করব, সে বিষয়ে এখনো আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। যদি না কমে সেটি হবে আমাদের জন্য অশনিসংকেত। কারণ, এরই মধ্যে প্রতিযোগী অনেক দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক কমে গেছে। ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ১৯ শতাংশ ও ভারতের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশের মতো হতে পারে। কাজেই আমাদের ক্ষেত্রে যদি শুল্ক ৩৫ শতাংশ-ই থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের পক্ষে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘শুল্ক ৩৫ শতাংশ-ই থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে তাৎক্ষণিভাবেই ২০ শতাংশ রফতানি কমে যাবে এবং একবছরের মধ্যে দেশটিতে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ রফতানি কমে যাবে। আমেরিকাতে রফতানির কমার একটি রিটেইল প্রভাবও আছে। কারণ, আমরা তো গ্লোবাল ব্রান্ডগুলোরও কাজ করি। গ্লোবাল ব্রান্ডগুলো শুধু আমেরিকার জন্য অর্ডার প্লেস করে না, তারা একই সময়ে এক ধরণের পণ্য বাংলাদেশে তৈরি করে বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। কাজেই একই সময়ে তারা যে পণ্যগুলো তৈরি করতো সেই অর্ডারও চলে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। সরকার থেকে যদি কোন প্রণোদনা না দেয়, তাহলে আমরা আরও ক্ষতির মধ্যে পড়ব। তবে, আমরা আশা করছি শুল্ক কমবে।’

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্যারিফ যদি না কমে সেটিকে পজেটিভলি মোকাবিলা করা ছাড়া আমাদের হয়তো আর কোন উপায় থাকবে না। সেই ট্যারিফ মেনে নিয়েই তা মোকাবিলার উদ্যোগ নিতে হবে। ট্যারিফ যদি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি হয় তখন আমাদের সক্ষমতা কমে যাবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আগের তুলনায় ফাইট দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাবে। ট্যারিফ যাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে কম কিংবা সমপর্যায়ে হয়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদি ট্যারিফ না কমে তখন নিজেদের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে হবে। সেটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য। সেক্ষেত্রে নিজেদের ইন্টারন্যাল ফ্যাক্টরগুলা যেমন- জ্বালানি খরচ, ব্যাংকিং খরচ ও উৎপাদনশীলতাসহ যে ফ্যাক্টরগুলো আছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। কীভাবে খরচ কমানো যায় ও বেটার প্রডাক্ট প্রাইস অফার করা যায়, সে জায়গাগুলোতে যদি সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করতে থাকে, তাহলে হয়তো এই অবস্থা কিছুটা হলেও মোকাবিলা করা যাবে। আর প্রতিটি কারখানাকে এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। ট্যারিফ না কমলে নিজেদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানো ও উৎপাদন খরচ কমানো ছাড়া উপায় থাকবে না।’

মন্তব্য জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘তৃতীয় রাউন্ডে যে আলোচনা চলছে, সেটির আগে বাংলাদেশ তো বেশ কিছু অফার দিয়েছে। দেখা যাক, তার প্রেক্ষিতে কী সিদ্ধান্ত আসে। এটি শুধুমাত্র আমরা যে আমেরিকা থেকে বোয়িং কিনব, সরকারি কেনাকাটা বাড়াব, শুল্ক কমানো বা শুল্ক বাধা দূর করব- এটির উপরই নির্ভর করবে না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা (ইউএসটিআর) যে প্রস্তাব দেবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প কতটুকু রক্ষা করবে সেটিরও একটি বিষয় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি বলতে, এটি নির্ভর করবে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক অবস্থানের ওপর। ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ। আরও অন্যান্য প্রতিযোগী যারা আছে সেটির সাপেক্ষে আমাদের সক্ষমতা নির্ধারণ হবে। আমরা যদি কিছুই না পাই, সেটি যদি ৩৫ শতাংশই থাকে, তাহলে একধরণের হবে। আর যদি কিছুট কমে ২৫ হয়, তাহলে আরেক ধরণের হবে। আমরা তো আশা করছি ৩৫ থেকে কিছুটা হলেও কমবে। প্রস্তুতির দিকেও আমাদের রফতানিকারকরা তাদের ব্রান্ড বায়ারদের সঙ্গে দরকষাকষি করে কতটুকু তাদের ঘাড়ে চাপাতে পারে, কতটুকু নিজেরা বহন করবে সেটিও একটি ব্যাপার। রফতানিকারকরা অন্যান্য বাজারে যাওয়ার চেষ্টা করবে, ইউরোপের বাজারে যাওয়ার চেষ্টা করবে, সেখানেও আবার প্রতিযোগিতা বাড়বে। যতটুকু উৎপাদনের স্ট্রাকচার কাঠামো, উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে যতটুকু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা, সেটিও করবে।’

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশই থাকে তাহলে ভিয়েতনামের সঙ্গে পার্থক্য হবে ১৫ শতাংশ। যদি আমাদের শুল্ক কমে ২৫ শতাংশ হয় তাহলে মূল প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে পার্থক্য দাঁড়াবে ৫ শতাংশ। দুটির ক্ষেত্রে দুইরকম হবে। আমাদের দেখতে হবে পার্থক্য কীরকম দাঁড়ায়। আমরা তো আশা করছি, অন্ততপক্ষে ভিয়েতনামের সমপরিমাণও যদি হয়, তাহলেও কিছুটা প্রতিযোগী সক্ষমতার দিক থেকে তেমন বড় পরিবর্তন হবে না। যদি ২০ এর কাছাকাছি থাকে তাহলে পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হবে না। যদি ২৫ শতাংশ হয়, সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। বায়ার ও ব্রান্ডগুলোর সঙ্গে কথা বলে শুল্কভার কিছুটা ভাগাভাগি করার চেষ্টা করবে। যদি পার্থক্য ১০ শতাংশ হয় তাহলে খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। তখন অনেক রফতানিকারক মার্কিন বাজারে রফতানি করতে পারবে না। তারা হয়তো ইউরোপ বা অন্যান্য বাজারে চেষ্টা করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বড় যারা আছে তারা কস্ট কাটিং করে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে ও বায়ারদের সঙ্গে দরকষাকষি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু ক্ষুদ্র যারা আছে, বা যারা শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদন করে, তাদের পক্ষে মুশকিল হবে। তারা তখন অন্যবাজারে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সেটিও তো সহজ না। সুতরাং, আমাদের রফতানি খাত বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি বড়ধরনের চাপের মধ্যে পড়বে।’

সারাবাংলা/ইএচটি/পিটিএম

কমার আভাস টপ নিউজ পোশাক উদ্যোক্তা প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর