ঢাকা: ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে। এদিকে, জমা দেওয়ার শেষ দিনে সময় চেয়ে আবেদন করেছে ১০টি দল।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এবার ২৮টি দল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পাওয়ায় তাদের অডিট নিবন্ধন জমা দেওয়া প্রযোজ্য নয়। আর বাকি ১০টি দল নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক প্রতিবেদন বা সময় বাড়ানোর প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
সময় চেয়েছে যেসব দল—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।
সাড়া দেয়নি যেসব দল—
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, তৃণমূলক বিএনপি, বাংলাদেশ জাসদ ও গণসংহতি আন্দোলন।
জানা যায়, সাধারণত দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বৃদ্ধি করা হয়। যেসব দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে, সে বিষয়টি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক যুগের মাথায় এবার আদালতের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল হয়েছে, তাই দলটিকেও অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার মধ্যে ছিল না দলটি।
আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পঞ্জিকা বছরের দলের আয় ব্যয়ের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধতকা রয়েছে। এ ছাড়া পরপর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির।