ঢাকা: সকাল থেকে বৃষ্টি। বাজারেও পড়েছে বৃষ্টির প্রভাব। বৃষ্টিতে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। মুরগি ও ডিমের দামও কিছুটা বাড়তি। সেই সঙ্গে বাড়তি চালের দামও।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মহাখালী ও বিজয়সরণির কলমিলতা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মৌসুম শেষ, সরবরাহ কম, বৃষ্টি এমন সব অজুহাতে রাজধানীর সব খুচরা বাজারে সবজির দাম বাড়তি। ৮০ থেকে ১০০ ঘরে থাকা সবজিগুলোর দাম কিছুটা কমে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে নেমেছে। এর নিচে শুধু মিলছে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁপে এবং ৩০ টাকা কেজি দরে আলু। বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর বাইরে গাজর-শসা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি হালি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়,টমেটো প্রতি কেজি ১৬০ টাকায়।

বৃষ্টিতে শাকসবজির দাম কিছুটা বাড়তি। ছবি: সারাবাংলা
সম্প্রতি কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় উঠা কাঁচামরিচ এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বাড়তি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিম ও মুরগির মধ্যে এখন মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায়। ডজনপ্রতি ডিম বেশিরভাগ খুচরা বিক্রেতারাই ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে কিছু বিক্রেতা অবশ্য ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়ও বিক্রি করছেন।

বেড়েছে মুরগির দামও। ছবি: সারাবাংলা
এদিকে, গেল এক বছর ধরে ভোক্তাদের চরম অস্বস্তিতে ভোগাচ্ছে চাল ও সয়াবিন তেলের বাজার। বছর ব্যবধানে দেশে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। একই সময়ে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১৫ থেকে ২৩ টাকা। এই দুটি পণ্য চরম অস্বস্তিতে রাখলেও কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে চিনি, ডাল ও মসলাজাতীয় পণ্য। বছর ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা ও ছোলা ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কম রয়েছে ৫০ টাকার মতো। রসুন ও আদার দামও কম রয়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।

নাজির, মিনিকেট, আটাশসহ বেড়েছে সবধরণের চালের দাম। ছবি: সারাবাংলা
বর্তমানে সরু চাল (নাজির ও মিনিকেট) ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গেল বছরের একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭৮ টাকা কেজিতে। ফলে বছর ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে মাঝারি চাল (পাইজাম ও আটাশ) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। গেল বছরের একই সময়ে দাম ছিলো ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা। ফলে বছর ব্যবধানে মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ১২ টাকা। মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে, গেল বছর একই সময়ে দাম ছিলো ৫০ থেকে ৫৪ টাকা। বছর ব্যবধানে এই চাল কিনতেও বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা।
অর্থাৎ সরকারি সংস্থার তথ্যমতেই, বছর ব্যবধানে সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। যদিও মিনিকেট চালের দাম উঠেছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকার ঘরে। চলতি বছরের মার্চে মিনিকেট চাল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়। তবে মাঝে চালের দাম আরও কিছু কমলেও ফের চালের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।