মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, মস্কোর সঙ্গে দিল্লির নিবিড় সম্পর্ক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘বিরক্তির কারণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর রুবিও এই মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রুবিও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিজেদের মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদার মনে করলেও রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনা তাদের পারস্পরিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
তবে, রুবিও স্বীকার করেন ভারতের জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক এবং তারা কম দামে রুশ তেল পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় রসদ যোগাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য উৎস থেকে তেল পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার মূল কারণ।’
২০২১ সালে ভারতের মোট তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫-৪০ শতাংশে। এর প্রধান কারণ ছিল রাশিয়ার দেওয়া মূল্যছাড়।
ভারতের পক্ষ থেকে রুবিওর বক্তব্যের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে অতীতে ভারত যুক্তি দিয়েছে যে তাদের দরিদ্র জনগণের স্বার্থে সর্বনিম্ন দামে জ্বালানি কেনার অধিকার রয়েছে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি তেল শোধনাগার রুশ তেল কেনা বন্ধ করেছে, কারণ ছাড়ের পরিমাণ কমে গেছে। যদিও ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
গত মাসে ভারতের জ্বালানিমন্ত্রী হারদীপ সিং পুরি বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে ভারত অন্যান্য উৎস থেকেও তেল সংগ্রহে প্রস্তুত। তিনি আরও জানান যে ভারত বর্তমানে ৪০টি দেশ থেকে তেল আমদানি করে, যা আগে ছিল মাত্র ২৭টি।