Monday 04 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০ শতাংশ শুল্ক রফতানি খাতের জন্য ‘সন্তোষজনক অবস্থা’: আমীর খসরু


১ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪৬ | আপডেট: ১ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৫

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা এটা আপাতত রফতানিকারকদের জন্য ‘সন্তোষজনক অবস্থা’। তবে, পুরো চুক্তির পেছনের বিষয়গুলো জানতে হবে।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, ‘এটা কোনো জয় বা পরাজয়ের বিষয় নয়। ট্যারিফের দিক থেকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আমরা ভালো আছি। আমাদের হার ২০ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ, আর ভারতের ২৫ শতাংশ। তাই তুলনামূলকভাবে এটি ‘সন্তোষজনক অবস্থা’।’

বিজ্ঞাপন

তবে খসরু মনে করেন, শুধু শুল্ক হার দেখেই পূর্ণ চিত্র বোঝা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত শুধু ট্যারিফ কমানোর নয়—পুরোটা একটা প্যাকেজ। এর পেছনে আমেরিকার কিছু চাহিদা থাকতে পারে, যা এখনও আমরা জানি না।’

সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য সচিবের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘কিছু তো আমাদের দিতেই হয়েছে। কারণ এই ট্যারিফ কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের রফতানির স্বার্থে গড়া।’

তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, আমদানি-রফতানির ভারসাম্য এবং অর্থনীতির সক্ষমতার বিষয়টি এখন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। ‘আমাদের ব্যবসায়ীরা, অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ কতটুকু এটা সহ্য করতে পারবে সেটাই মূল বিবেচ্য।’

ট্যারিফ কাঠামো পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আরও কিছু দেশ উপকৃত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার শুল্কহার ৩০ শতাংশ থেকে কমে ২০শতাংশ হয়েছে এবং পাকিস্তানের হার ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯শতাংশ হয়েছে।

বাংলাদেশের রফতানিকারকদের স্বস্তি ফিরেছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘এই মুহূর্তে ২০শতাংশ হার রফতানি বাজারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তাই আপাতত এটা সন্তোষজনক। তবে পুরো বিষয় না জেনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বলা সম্ভব নয়।’

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশকে শুধু আমেরিকান বাজারে নির্ভর না করে রফতানি বহুমুখীকরণে মনোযোগী হতে হবে। ‘দেশের ভেতরে ও বাইরের বাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের অর্থনীতিকে আমেরিকা নির্ভরশীল রাখা যাবে না। সেটিই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের দরকার আছে।’

খসরু বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত পুরো নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া ও চুক্তির বিস্তারিত জনসমক্ষে তুলে ধরা। এতে করে দেশের জনগণ বুঝতে পারবে—এ সিদ্ধান্তের বিনিময়ে আমরা কী পেয়েছি বা হারিয়েছি।’

খসরু রপ্তানি শুল্ক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর