চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুইহাত প্রসারিত করে বুলেটবিদ্ধ শহিদ আবু সাঈদ কিংবা রাজপথে লাখো জনতার দৃপ্ত মিছিলের আলোকচিত্র আরেকবার চোখের সামনে হাজির করল জুলাই অভ্যুত্থানের সেই আগুনঝরা সময়টিকে। কালের পরিক্রমায় হয়তো একসময় ঝাপসা হয়ে আসবে স্মৃতি, কিন্তু ক্যামেরায় বন্দি হওয়া সময়গুলো বারবার মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে চব্বিশের জুলাইয়ে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’ প্রদর্শনীতে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: সারাবাংলা
এক বছর আগে লাঠি, গুলি, টিয়ারগ্যাস উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফার সংগ্রাম আর হাজারো প্রাণদানের ইতিহাসকে স্মৃতির পাতায় অমলিন করে রাখতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজন করেছে ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’ শীর্ষক তিনদিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: সারাবাংলা
এ সময় মেয়র বলেন, ‘শহিদ আবু সাঈদের যে বুলেটবিদ্ধ ছবি, একটা সময় হয়তো মানুষ তাকে ভুলে যাবে, কিন্তু এই ছবিগুলো ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেবে। জুলাই-আগস্ট নিয়ে আমরা বলি ৩৬ দিনের বিপ্লব। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে যে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটি শুধু ৩৬ দিনের নয়—১৬ বছরের নির্যাতনের ইতিহাস। ওই সময়ে শহিদদের ভুলে যাওয়া হবে তাদের প্রতি অবিচার।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’ কর্মসূচির আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরুদ্দিন আহমেদ, দ্য পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেসক্লাব সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফ এবং চট্টগ্রাম ফটোসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।