ঢাকা: ‘টাইগার শার্ক’ শীর্ষক যৌথ সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের প্রতীক- বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন হলো টাইগার শার্ক মহড়া। মহড়াটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় ও উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার ও ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টার্স কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্ৰশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভূক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।