ঢাকা: রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত জনসমাবেশকে ঘিরে উসকানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “যেহেতু অভ্যুত্থানের দুইটি পক্ষ এনসিপি এবং ছাত্রদল একই দিন পৃথক কর্মসূচি পালন করছে, সেহেতু তৃতীয় একটি পক্ষ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে।”
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে যেন আমরা কেউ পা না দিই। আমরা কেউ ছাত্রদলের না, তারা কেউ আমাদের না। আমাদের দায়িত্ব নিজেদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা।”
আজকের সমাবেশ থেকে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করার কথা রয়েছে এনসিপির।
সমাবেশে সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে একাধিক নির্দেশনা দেন সারজিস। তিনি বলেন, “আমরা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সমাবেশ করছি। তাই খাবারের প্যাকেট বা বোতল ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। সমাবেশ শেষে সবাই যেন নিজের দায়িত্বে জায়গাটি পরিষ্কার রাখে।”
সারজিস জানান, সারা দেশ থেকে বাসে করে নেতা-কর্মীরা আসছেন। বাসগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে না রেখে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে পার্কিংয়ের অনুরোধ জানান তিনি। সেখানে মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সমাবেশস্থলের আশপাশে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, মোবাইল টয়লেট এবং পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি গেট সংলগ্ন এলাকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে।
আজকের আরেকটি বড় সমাবেশ শাহবাগে করছে ছাত্রদল। এনসিপির এই নেতা বলেন, “শাহবাগে আমাদের অভ্যুত্থানের অনেক সহযোদ্ধারা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। তাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে হবে।”
ভিড় ও যানজট এড়াতে নেতা-কর্মীদের দোয়েল চত্বর, চানখারপুল, বকশীবাজার, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড ও নীলক্ষেতের রাস্তা ব্যবহার করে শহিদ মিনারে পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সারজিস বলেন, “আজকের এই দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বার্তা জানাব এবং শৃঙ্খলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো।”