চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে নিয়ে সালিশ বৈঠকে তার বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, প্রতিবেশি এক যুবক ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এরপর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে এ নিয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে গ্রামে সালিশ বৈঠক বসেছিল। সেখানেই খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তবে এটি হত্যাকাণ্ড কী না পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে।
মৃত ফখরুল ইসলাম (৫৮) হাটাহাজারী থানার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরীহাট এলাকার সন্দ্বীপ কলোনির বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ১৪ বছর বয়সী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করায় অভিযুক্ত মো. রিফাত (২২) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা। তবে হাটহাজারীর সন্দ্বীপ কলোনিতে খালার বাসায় থেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে।
কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে গত ২৭ জুলাই হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অভিযোগ করা হয়, ওইদিন বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রিফাত ও তার সহযোগীরা মিলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর রিফাত তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করে।
অভিযোগ পাবার পর ২৮ জুলাই পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে আনা হয়। তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, গত শুক্রবার রাতে রিফাত এবং কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় গণমান্যদের নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে হট্টগোল হয়েছে। এর মধ্যে মেয়েটির বাবা অসুস্থবোধ করেন এবং একপর্যায়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে সেখানে মারা যান। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।’
‘আমরা সালিশ বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পিটিয়ে খুনের বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।’