ঢাকা: দেশব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা খাতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের বাৎসরিক সুদের হার ২ শতাংশ।
রোববার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে এডিবি’র সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি ঋণচু্ক্তি সই করেছে সরকার। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবি’র পক্ষে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং সই করেন বলে ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে এডিবি’র সঙ্গে একটি ঋণচু্ক্তি সই করেছে ইআরডি – (ছবি : সংগৃহীত )
ইআরডি জানায়, চার বছর মেয়াদী (২০২৫-২০২৯) ‘টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম’ এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ১৫ কোটি ডলার অর্থায়ন বা ঋণ দেবে এডিবি। অবশিষ্ট ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৪ হাজার ডলার ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের অগ্রাধিকার অনুযায়ী এ কর্মসূচির আওতায় পাঁচটি প্রধান প্রযুক্তি ক্লাস্টারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছে- মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সিভিল এবং খাদ্য ও কৃষি। এটি বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অগ্রাধিকারকে সহায়তা করবে, দারিদ্র্য ও সামাজিক বঞ্চনার অ-আয়ভিত্তিক দিকগুলো মোকাবিলা করবে এবং সরকারের সমন্বিত টিভিইটি উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা (আইটিডিএপি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভন কর্মসংস্থান ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াবে।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের জন্য ফলাফলভিত্তিক এ সহায়তা ঢাকার বাইরে, বিশেষত অনুন্নত এলাকায় আধুনিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াবে, উদীয়মান প্রযুক্তিতে শিক্ষকদের শিক্ষাদান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নত করবে এবং শিক্ষক উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেদন প্রণালীর সক্ষমতা জোরদার করবে।
কর্মসূচি শেষে অন্তত ১০ হাজার নতুন ও বিদ্যমান টিভিইটি শিক্ষকের দক্ষতা বাড়বে, যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, সারাদেশে ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের একটি জাতীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে বাংলাদেশের টিভিইটির মান ও প্রাসঙ্গিকতা দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকে।