ঢাকা: জমির বৈজ্ঞানিক উপাদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মূল্য নিরূপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের জমির পুষ্টি উপাদান, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ছাড়াও মাটির বিভিন্ন উপাদান কমে যাওয়ার কারণে রাষ্ট্রের কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, উৎপাদনে কী ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে- এসব নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক, আর্থিক ও কারিগরি কার্যক্রম বাস্তবায়নে কৌশল’ বিষয়ক দিনব্যাপী এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হলে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। এতে নানাবিধ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর ও অনেক ক্ষেত্রে দেশসমূহ ক্ষতির শিকার হয়। জাতি কাঙিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। যথাসময়ে সঠিক কাজটি করা যায় না। তাই আর্থিক ব্যবস্থা সুন্দর হতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। সে অঞ্চলের মাটি সুরক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বর্তমানে ভূমিকম্পের মাত্রা বাড়ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ায় বাড়ছে লবণাক্ততা। এতে দক্ষিণাঞ্চলের জমিতে ফসলের পরিমাণ কমছে। সেকারণে এখনই আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ঢাকার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, বিভাগীয় কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ড. মো. আফসার আলী ও রংপুরের মো. আব্দুল হালিম প্রমুখ।