Monday 11 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ নির্দেশ নিয়ে যা বললেন সাক্ষী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৩১

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জুলাই আন্দোলনে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শেখ হাসিনার ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ আদেশের কথা এবার উঠে এসেছে সাক্ষীর জবানবন্দিতে। সেদিনের সেই ঘটনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান।

সোমবার (৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ জবানবন্দি দেন তিনি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। যদিও এ মামলায় রাজসাক্ষী হন মামুন।

বিজ্ঞাপন

এদিন জবানবন্দিতে ইমরান বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরু থেকেই কোটাবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় যোগ দেন। ওই দিন আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হয়।’

চিকিৎসাধীন থাকতেই গত বছরের ২৬ বা ২৭ জুলাই সকাল ৯টা-১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শন শেষে যাওয়ার সময় হেল্প ডেস্কে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন সাবেক এই সরকারপ্রধান। আর নির্দেশের কথা শুনতে পান ইমরান। শুরুতে এ কথার মর্মার্থ জানলেও নিজের চিকিৎসায় গাফিলতি দেখে সব বুঝতে পারেন।

এদিন ইমরান ছাড়াও আরেকজন সাক্ষী নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব বর্ণনা তুলে ধরেছেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই

নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ মানবতাবিরোধী অপরাধ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

ঢাকার বাতাসে স্বস্তি
১১ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৪১

আরো

সম্পর্কিত খবর