ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড আছে বলেই আজও সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন ।
একদিন আগে (৩ আগস্ট) এনসিপি মন্তব্য করে ইসির মেরুদণ্ড নেই। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড না থাকলে আমি কীভাবে দাঁড়িয়ে আছি? আমি তো নির্বাচন কমিশনেরই অংশ—এটাই প্রমাণ করে আমাদের মেরুদণ্ড আছে।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব প্রস্তুতি চলমান রয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত একান্ত কমিশনের। আমাদের প্রস্তুতির অনেকটাই শেষ, বাকিগুলোও সময়মতো জানানো হবে।’
তিনি জানান, অক্টোবরে সব প্রস্তুতি শেষ হবে না, কিছু কাজ চলবে নভেম্বর পর্যন্তও।
দলীয় অডিট রিপোর্ট ও নিবন্ধন সম্পর্কে তিনি জানান, ‘এবার ৩০টি দল নির্ধারিত সময়ে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ১৫টি সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে এবং ৬টির মধ্যে ৫টি জমা দেয়নি। বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৫১টি, স্থগিত ১টি। নতুন নিবন্ধনের জন্য ১৪৫টি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৮০টি দল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে। ৫৯টি দল কোনো জবাব দেয়নি।’
ভোটার তালিকা ও সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘১০ আগস্ট হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ হবে। এবার ১২ কোটির বেশি ভোটার রয়েছে। বাদ পড়া ৪৪ লাখের আপত্তি-নিষ্পত্তি হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় পৌনে ১৩ কোটি ভোটার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। আপত্তি জানাতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনী সামগ্রী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেনা হবে। আইন-বিধি সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে। এআই অপব্যবহার ঠেকাতে আচরণবিধিতে কারিগরি সংযোজন করা হচ্ছে।
‘প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট চালুর লক্ষ্যে প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে, ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে সব তথ্য দিয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে চাই। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক কর্মকর্তা বদলি করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’