ঢাকা: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের আলেম-উলামাদের সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় বয়ানে শব্দদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের মতো পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বার্তা অন্তর্ভুক্ত করলে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসবে।’
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পরিবেশ অধিদফতরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণে দেশের বিশিষ্ট আলেম-উলামাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলাদেশেও আমরা শুধু বক্তৃতায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নিতে চাই। কনসার্ট, এম্বুলেন্স ও পরিবহন খাতে নিয়ন্ত্রিত শব্দ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।’
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ইসলামী শিক্ষা শব্দ সংযম ও সংবেদনশীলতা শেখায়। গভীর রাতে মাইকের উচ্চ শব্দ শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। অহেতুক হর্ন বাজানোও ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থী। শব্দ শুধু কানে ব্যথা দেয় না, স্নায়ুতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
সভায় উপস্থিত আলেম-উলামাগণ শব্দদূষণ রোধে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিবেশ উপদেষ্টা কোরআন-হাদিসভিত্তিক সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় মূল্যবোধকে ভিত্তি করেই গড়ে তুলতে হবে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, অধিদফতরের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদ।