ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের আগামী দিনের নীতি জনবান্ধব রাজনীতি। আমাদের লক্ষ্য মানুষের বাক স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আমাদের এ বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলেই আপনি নেতা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত যুব-সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিএনপিঘোষিত ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ যুব সমাবেশ আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, ‘১৭ বছর দেশের মানুষ অত্যাচার, গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। অভ্যুত্থানের শহিদদের আমরা যদি সত্যিকারের সম্মানিত করতে চাই, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষিত তরুণ বেকার অবস্থায় রয়েছে। এর অন্যতম কারণ, আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম। কর্মমুখী শিক্ষা ও কারিকুলাম বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করছে। স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর মধ্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি রফতানি আমাদের লক্ষ্য।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, উৎপাদন ও রফতানি নিয়েও কাজ চলছে। কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে চেষ্টা আমরা করব। আমরা যদি ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারি, তাহলে আরও মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আর কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবাখাতকে নতুন করে সাজানো হবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামে এই সেবা পৌঁছে যাবে। সম্পৃক্ত হবেন নারীরাও।’
পরিবেশের ওপর গুরুত্বরোপ করে তারেক রহমান বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগানো হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। খাল খনন কর্মসূচি আমরা আবার শুরু করব। দেশের কৃষকদের বাঁচাতে আমরা আবার সব নতুন করে শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘কথমালা নয়, জনগণ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনসমর্থন ও জনগণের সহযোগিতা।’
বিকেল সাড়ে ৩ টায় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে যুব সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এর পর জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীলসহ অন্তত ২৪ জন যুবনেতা বক্তব্য দেন। সমাবেশ মঞ্চে ৭৮ জন শহিদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাতে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।