ঢাকা: মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়ে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন— রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ) ও সদস্য (এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (অর্থ) মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
দুদক জানায়, প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন খায়রুল হক। ঢাকা শহরের ধানমন্ডির নায়েম রোডে ছয়তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্যসংবলিত হলফনামা জমা দিয়ে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ১০২ নম্বর রোডের ৪ নম্বর প্লটটি নিজ নামে রেজিস্ট্রিমূলক দখলে নেন তিনি। জেনে-শুনে আসামিরা যোগসাজশে নিজে এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। মামলায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।