ঢাকা: গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি করতে যাচ্ছে। আগামীকাল (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র প্রকাশের আগে কোন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করায় তিনি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে রাশেদ লিখেন, ‘আগামীকাল গণঅভ্যুত্থান অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে একপাক্ষিকভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করছে সরকার।এটি একটি ঐতিহাসিক বিকৃতি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। হয়তো রাতের মধ্যে দাওয়াত দিবে, কারণ দাওয়াত দিবে কি দিবে না— এ নিয়ে সরকার কনফিউশানে আছে।’
এ প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, “আজকে মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বললেন, ‘১/১১’র পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!’ নিশ্চয়ই তার কাছে কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে। তার এই মন্তব্য গভীর রাজনৈতিক সংকেত বহন করে।”
রাশেদ আরও দাবি করেন, “ঐক্যমত কমিশনের একজন সদস্য জনাব ইফতেখারুজ্জামান এনসিপিকে ‘কিংস পার্টি’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি নিছক ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, বরং সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি সুযোগ তৈরি করল দেশ-বিদেশে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “সামনে হয়তো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জোরালো হতে পারে। অথবা মাহফুজ আলমের ভাষ্যমতে, ‘তৃতীয় পক্ষ’ ক্ষমতায় আসবে এবং এর পরিণতিতে আবার আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। এতে রক্ত ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”