ঢাকা: বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পারস্পরিক বিভেদ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে আয়োজিত পতাকা মিছিল থেকে এই আহ্বান জানান তিনি। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে এই পতাকা মিছিল শুরু হয়।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে নির্দলীয় পরিচয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অনেক নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। কিন্তু এখন কে কতটা অবদান রেখেছে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয়েছে— যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।’
তিনি বলেন, ‘জাতির কল্যাণে এই বিভেদ বন্ধ করতে হবে। এনসিপির জন্ম হয়েছে অভ্যুত্থানের পরে। তাই দলীয়ভাবে তারা অবদান দাবি করতে পারে না। তবে যারা এখন এনসিপির নেতৃত্বে আছেন, তারা অনেকেই গণঅভ্যুত্থানের মূল সংগঠক ছিলেন। তাই ‘আপসকামী’, ‘সাবেক ছাত্রলীগ’ ইত্যাদি অপবাদ না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।”
এ সময় তিনি মনে করিয়ে দেন, গত বছরের জুলাই থেকে এবি পার্টি প্রকাশ্য রাজপথে ছিল, রক্ত দিয়েছে, নির্যাতন সহ্য করেছে—তবুও নিজেদের অবদানকে নগণ্য বলে মনে করে।
সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যদি সব রাজনৈতিক দলের আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি হতো, তবে সেটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হতে পারত। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি, এটি কে, কোথায় এবং কীভাবে চূড়ান্ত করেছে। বাস্তবায়নের রূপরেখাও অজানা।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ওহাব মিনার। সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন। আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, নাসরিন সুলতানা মিলিসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
পতাকা মিছিলটি বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল, বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।