ঢাকা: বিশিষ্ট অভিনেতা ও সমাজকর্মী, জনতা পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে জুলাই সনদ’ ঘোষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতির মাঠে নেমেছি দায়িত্ববোধ থেকে। হয়তো সক্রিয়ভাবে সময় দিতে পারছি না, তবে আমার দল সবসময় ইনসাফভিত্তিক শাসনব্যবস্থার কথা বলেছে। ২০২৪ সালের আন্দোলনে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, ইনশাআল্লাহ তা বাস্তবায়িত হবেই।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি চাই দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হোক, ঘুষ-দুর্নীতি দূর হোক, অপকর্ম ও অবিচার চিরতরে নিঃশেষ হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যে ব্যাপক সংস্কারের পথে এগোচ্ছে, তাতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবং গড়ে উঠবে এক ‘নতুন বাংলাদেশ।”
৫ আগস্টের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়— এটি একটি চেতনা, একটি জাগরণ, একটি অঙ্গীকার। আমি একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিলাম। আমি মিডিয়ার সামনে কথা বলেছি, ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু সরকার বর্বর হামলা চালিয়েছে শিশু, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর।’
তিনি শহিদ আবু সাইদ, মুগ্ধসহ সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘এইসব হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাতিসংঘের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের হত্যাকাণ্ড যদি বিচারহীন থেকে যায়, তবে ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে। সুতরাং এর চূড়ান্ত অবসান অত্যন্ত জরুরি।’
বিবৃতির শেষভাগে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব এসেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যেন সেগুলো সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সম্পন্ন করে।’ একইসঙ্গে তিনি গত এক বছরে আন্দোলনের মধ্যেও যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।