ঢাকা: জুলাই স্মরণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিতে ‘দণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার’দের ছবি প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ছবি সরিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাবির সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবিগুলো খুলে নিয়ে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।
‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীতে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাবেক শুরা সদস্য মীর কাসেম আলী, সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি টানানো হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে তারা সবাই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবি দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন বামপন্থী ছাত্র নেতাদের গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ।
এ সময় তারা ‘আমার মাটি, আমার মা, রাজাকারের হবে না’, ‘স্বৈরাচার আর রাজাকার, মিলেমিশে একাকার’, ‘একাত্তরের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘মা মাটি মোহনা, রাজাকারের হবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর এসে ছাত্র শিবিরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবিগুলো খুলে নিয়ে যান। এ সময় ঢাবি ছাত্রশিবির নেতা মাজহারুল ইসলাম ছবিগুলো খুলে নেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ এনেছে। আমরা শিবিরের ছেলেদের ডেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
এ সময় ছাত্রশিবিরের নেতা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতেই জুলাইকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এ প্রদর্শনের আয়োজন করেছিলাম। এখন বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ছবিগুলো সরিয়ে ফেলার অনুরোধ এসেছে। তাই আমরা ছবিগুলো সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সম্মতি জানাচ্ছি।’