সিলেট: জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং চা-বাগানে ইমাম উদ্দিন (৪৫) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে বাগানে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জাফলং চা-বাগানের একটি কক্ষ থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইমাম হোসেন উপজেলার মেদি গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে। আর আটক তিনজন হলেন- নিরঞ্জন গোয়ালা, আক্কেল প্রধান এবং কপিল উদ্দিন লিটন।
নিহতের পরিবার বলছে, হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে চোর হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। এর আগে, সোমবার রাতে চা বাগানে ইমাম উদ্দিনকে আটক করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ইমাম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে চা বাগান এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ইমাম উদ্দিনকে চোর সন্দেহে আটক করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। পরে কয়েকজন মিলে তার ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ইমাম উদ্দিনের মৃত্যু হয়। তবে, ইমাম উদ্দিনের পরিবারে দাবি, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যই চুরির মিথ্যা ঘটনা সাজানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। মামলার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।