Friday 12 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে দ্বিতল মসজিদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৩৯ | আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪২

ভাঙনে দিতল মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর ভাঙনে আলম খার কান্দি জামে মসজিদের দ্বিতল ভবনটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকা এ ভাঙন দেখা দেয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত বছর নভেম্বর মাসে জাজিরার পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্সট্রাকশন ইয়ার্ড রক্ষাবাঁধের জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রথম ভাঙন শুরু হয়। এতে বাঁধের ১০০ মিটার অংশে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। চলতি বছরের ৭ জুন, ৭ জুলাই, ৯ জুলাই, ২৩ জুলাই, ৩১ জুলাই ও সবশেষ ৫ আগস্ট মোট কয়েক দফা ভাঙনে বাঁধটির অন্তত ৭৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনে ওই বাঁধের পাশে আলম খাঁরকান্দি, ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি, উকিল উদ্দিন মুন্সিকান্দি এবং মাঝির ঘাট এলাকার অন্তত ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ৫০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয় স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই অঞ্চলের অন্তত ৬০০ পরিবার এবং মাঝিরঘাট বাজারের ২০০টির বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ও জিওটিউব ডাম্পিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ পর্যন্ত ওই এলাকায় এক লাখ ২০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। তবে ভাঙনের ফলে সেগুলোও কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু সেই জিওব্যাগ সমেত নদীর তীর ভেঙে আরও ১৫০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সকালেই খবর পাই আমাদের এলাকার মসজিদটি ভাঙনের কবলে পড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা অনেকেই দ্রুত নদীর পাড়ে চলে আসি। একটু পরেই চোখের পলকে বিকট শব্দে মসজিদটি নদীর মধ্যে ভেঙে পড়ে। আমরা এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কে আছি। আমাদের অনেকের ঘরবাড়ি চলে গেছে, বাকিগুলোও চলে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত নদী ভাঙন ঠেকাতে আপদকালীন কাজ করছি। কিন্তু পদ্মা নদীতে যেই স্রোত, ভাঙন পুরোপুরি থামানো সম্ভব না। ভাঙন প্রতিরোধের একটিই ব্যবস্থা, সেটি হলো স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমরা এরই মধ্যেই সে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রকল্প অনুমোদন শেষে আমরা কাজ শুরু করতে পারব।

সারাবাংলা/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো