ঢাকা: এলএনজি কার্গো, সার ও চিনি আমদানিসহ ৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৮০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে ঢাকার মিরপুর ১৬ নং সেকশনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহসূচনা)’ প্রকল্পের দুটি পৃথক প্যাকেজ (২ ও ৩) এর পূর্তকাজের দুটি পৃথক ভেরিয়েশন প্রস্তাব এবং ‘ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল)-এর উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তর প্রকল্প’-এর আওতায় সিমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন কাজের একটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিরপুরে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজের দুটি প্যাকেজে মোট ১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা এবং ছাতক সিমেন্ট প্রকল্পে ২০ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় বাড়ছে।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির (চলতি পঞ্জিকা বছরের ৪০তম) একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’ এ কার্গো সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.২৮৯ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৫১৭ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশ (বিএডিসি) এর সঙ্গে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব-এর মা’এডেন থেকে ৮ম লটের আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি এবং চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ‘কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড’ (কাফকো) থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৭৮১ ডলার দরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩৮৩ কোটি ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অন্যদিকে প্রতি মেট্রিক টন ৪৪৮.৩৭৫ ডলার দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিল উৎসের এ চিনি সরবরাহ করবে ইস্তানবুল-এর প্রতিষ্ঠান ‘বেগালাতা ড্যানিশমেনলিক হিযমেটলেরি এএস। এতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর ভূমি উন্নয়ন কাজ (প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-১১-বিএসএমএসএন-বেজা) সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি পেয়েছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের দরপত্র পুনঃমূল্যায়নের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং ‘গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া-কোটালিপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট’ (কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ নং সি-০১)-এর পরামর্শক নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বৈঠকে ৪৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নেদারল্যান্ডের ‘হাস্কোনিং ডিএইচভি নেদারল্যান্ড বিভি এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘দেব কনসালট্যান্টস লিমিটেড-কে যৌথভাবে নিয়োগের এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।