ঢাকা: রাজধানীর হোটেল সারিনায় ‘নি হাও! চীনা-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীতে রোগীরা চায়না চিকিৎসা সম্পর্কে ও চীনা চিকিৎসক দেখানোর বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতা পাবেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার। প্রদর্শনী চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনীর মূল আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সহযোগিতা করছে চায়নিজ মেডিকেল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, চায়না-বাংলাদেশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং আমরা নারী। এতে উপস্থিত থাকবেন চীনের বেশ কিছু হাসপাতালের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মারুফ মোল্লা বলেন, এই আয়োজন শুধু প্রদর্শনী নয়, বরং বাংলাদেশ-চায়নার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায়। চায়নার উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করতে আমরা বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছি।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও আমরা নারী’র প্রতিষ্ঠাতা এম এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘নি হাও! চায়না-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ স্বাস্থ্য বিষয়ক এই আয়োজনকে ঘিরে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই সাংবাদিকদের জন্য থাকবে প্রদর্শনীর বিশেষ এক্সেস, লাইভ কাভারেজ সুবিধা এবং প্রেস কিট। আমরা আন্তরিকভাবে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে বাংলাদেশের মানুষ এই সুযোগ সম্পর্কে সচেতন হয় এবং প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার বাংলাদেশের কনসালটেন্ট ডা. রাশেদুল হাসান রুবেল বলেন, এ নিয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তরিকভাবে সাংবাদিক, পত্রিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে এই স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রদর্শনী ও প্রচারাভিযানের অংশীদার হওয়ার আমন্ত্রণ জানাই।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে চায়নার ১২টির বেশি স্বনামধন্য হাসপাতালের প্রতিনিধি, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে- চীনের বোও ইয়িলিং হাসপাতাল, ফোসুন হেলথ ও শেনজেন হেংশেং হাসপাতাল, ফোশান ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল, গুয়াংজু ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল, গুয়াংজু শেংমেই হাসপাতাল, গুয়াংজু ফুদা ক্যানসার হাসপাতাল, কুনমিং থংরেন হাসপাতাল, মডার্ন ক্যানসার হাসপাতাল ও গুয়াংজু সিং মে হাসপাতাল।
প্রদর্শনীতে রোগীরা পাবেন অন-সাইট ও অনলাইন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, সরাসরি চায়নার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার আমন্ত্রণপত্র, অন-স্পট ভিসা সহায়তা, ভিসা প্রসেস, আমন্ত্রণপত্র প্রদান ও চায়না যাত্রার সহযোগিতা। এ ছাড়া বিমানবন্দর, পিকআপ থেকে শুরু করে ফ্রি অনুবাদসেবাসহ যাবতীয় সহায়তা থাকবে রোগীদের জন্য।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, চীনের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, লি শাওপেং (কালচারাল কাউন্সেলর, চীনের দূতাবাস), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মো. মুনিরুল ইসলাম এবং চীনের খ্যাতনামা হাসপাতাল ও চিকিৎসাযন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।