ঢাকা: শুধু শেখ হাসিনার বিদায় জুলাই আন্দোলনের একমাত্র প্রাপ্তি হতে পারে না- বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, শুধু শেখ হাসিনার বিদায় এই আন্দোলনের একমাত্র প্রাপ্তি হতে পারে না। রাষ্ট্রব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে এই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, অন্যদিকে গত এক বছরে জনগণের প্রত্যাশার কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিকই পূরণ হয়নি। বরং ফ্যাসিবাদী অবকাঠামো বহাল রেখেই কেবল সরকারের পরিবর্তন ঘটেছে।
এছাড়া ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গত এক বছরে পূরণ না হওয়া প্রত্যাশার একটি তালিকাও দিয়েছেন মো. রাশেদ খান। এগুলো হচ্ছে- ১. সারাদেশের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়নি। বরং সর্বত্র তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
২. শেখ পরিবারের কেউ ধরা পড়েনি।
৩. জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৬ বছরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির যারা গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে— তারা চিহ্নিত ও গ্রেফতার হয়নি।
৪. প্রশাসনের যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানাতে সহযোহিতা করেছে সে সকল সচিব, ডিসি ও এসপিরা গ্রেফতার হয়নি।
৫. পুলিশ ও প্রশাসনের কোনো সংস্কার হয়নি। এখনো তদবির বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি সবই চলছে।
৬. যে এনএসআই ও ডিজিএফআই আয়নাঘর বানিয়েছে, ৩টা অবৈধ নির্বাচন করেছে, গুম-খুন করেছে- সেই গোয়েন্দা সংস্থার ন্যূনতম সংস্কার ও দোষীরা শাস্তির আওতায় আসেনি।
৭. গত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের ক্যাডার- যারা শিক্ষক হিসেবে ও প্রশাসনে ঢুকেছে, তারা বহাল তবিয়তে।
৮. গত ১৬ বছরে যারা অবৈধ নিয়োগ পেয়েছে, তারা চাকরিচ্যুত হয়নি।
৯. যেসব গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১০, সচিবালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, স্থানীয় প্রশাসন থেকে আওয়ামী প্রভাব এখনো সরেনি।
১১. ফ্যাসিবাদী পরিবেশে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাউন্সেলিং ও মানসিক পুনর্গঠনের কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।
১২. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুই মৌলিক খাত সংস্কারের জন্য কোনো রূপকল্প সামনে আসেনি।