ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যগামী বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেও হেলথ সার্টিফিকেট দেয় একদল স্বার্থান্বেষী, লোভী ও প্রতারক চক্র। ফলে অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসাইন চৌধুরী হলে ‘গালফ হেলথ কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টার্স ওনার’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিক্যাল সেন্টারের মালিকরা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট কার্যক্রমের জন্য গালফ হেলথ কাউন্সিল ২৬০টি মেডিকেল সেন্টারের অনুমোদন দেয়। গালফ হেলথ কাউন্সিল তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে একসময় গালফ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে একসময় কোঅরডিনেট করার দায়িত্ব দিয়েছিল। এরপর দেশের প্রতিটি বিভাগে অসংখ্য মেডিকেল সেন্টার গড়ে উঠেছে। এটিকে পুঁজি করে একদল স্বার্থান্বেষী, লোভী ও প্রতারক চক্র অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের ধান্দা হিসেবে বিকল্প পথ তৈরি করে আসছে।
তারা বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেও হেলথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় অসাধু মেডিকেল সেন্টার এর মাধ্যমে। পরে বিদেশে যাওয়ার পর সেই দেশ থেকে মেডিকেল চেকাপ করার পর আনফিট দেখলে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফলে এইভাবে অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলছেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে ভিসা দিতে অপারগতা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ভিসার জন্য বিদেশগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ জমা দিতে হয় দূতাবাস এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে। বিশেষ করে সৌদি আরবসহ মাধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ প্রয়োজন হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কয়েকটি মেডিক্যাল সেন্টার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা প্রতারণার ফাঁদ পেতে রমরমা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।
মেডিক্যাল সেন্টারের মালিকরা আরও বলেন, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।